আবুল হোসেন, সিলেট: সীমান্তের ওপার থেকে বরাক নদী জকিগঞ্জের অমলসিদে দুই ভাগ হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী নাম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই তিন নদীর মোহনায় একটি বাঁধ ভেঙে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার ৪ ইউনিয়নে নতুন এলাকা প্লাবিত করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাঁধ ভাঙার ফলে সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
শুক্রবার নগরীতে পঞ্চম দিনে পানি কমলেও বিশুদ্ধ পানির ও রান্না করা খাবারের সংকট তীব্র হয়েছে। বন্যার পানিতে নগরীর মেন্দিবাগ এলাকায় অবস্থিত সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি চারটি পাম্প তলিয়ে যাওয়ায় পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় কয়েকটি এলাকার পানিবন্দি মানুষ বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন। নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য মানুষের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি হয়েছে।
সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (পানি) আবদুস সোবহান জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্লাবিত হওয়ায় ময়লা পানি প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা পাম্পগুলোও পানির নিচে থাকায় চারটি পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কিছু পাম্প চালু রয়েছে। সেগুলো দিয়ে এখনো যেসব এলাকার অবস্থা কিছুটা ভালো, তাদের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুই হাজার লিটারের ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক দিয়ে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।